ভারতের পাঁচ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া এসব জেলায় ইন্টানেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
রোববার (৮ই-জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাকচিং, থৌবাল, ইম্ফাল পূর্ব ও ইম্ফাল পশ্চিম-এই চারটি উপত্যকা জেলায় চার বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ইম্ফাল পশ্চিমে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ দল কর্তৃক আরামবাই তেংগোল (এটি) সদস্য কানন মেইতেইকে গ্রেপ্তারের ফলে সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলায় পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এটির ‘সেনাপ্রধান’ বলে পরিচিত কানন মেইতেইকে শনিবার রাত ৯-টা ৪০-মিনিটে এনআইএ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পরপরই শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে এবং তাকে হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। ঘটনাটি ইম্ফাল পশ্চিমের কোয়াকিথেল এলাকার কাছে ঘটে। এ সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়।
আরামবাই তেংগোল (এটি) একটি সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠী, যারা ২০২৩-সালের ৩রা-মে রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
থৌবালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদেশে বলা হয়েছে, পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট জানিয়েছেন যে ইম্ফাল পশ্চিমে এটি সদস্য(দের) গ্রেপ্তারের ঘটনায় থৌবাল জেলায় বিক্ষোভ/আন্দোলনের আয়োজন করা হয়েছে এবং এই ঘটনা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং জেলায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, ৭ই-জুন থেকে জেলায় চার বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ এবং “আগ্নেয়াস্ত্র, তলোয়ার, লাঠি, পাথর বা অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্র, ধারালো বস্তু বা আক্রমণাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারযোগ্য যে কোনো জিনিস বহন নিষিদ্ধ।
অন্য চারটি উপত্যকা জেলাও একই ধরনের আদেশ জারি করেছে।
আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /
আপনার মতামত লিখুন :