বয়সের ফারাক সম্পর্কে কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম


আজকের বিডি নিউজ২৪ প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২৫,

নিউজ ডেস্ক :

সম্পর্ক শুরুর সময় একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম থেকে পরিণয় পাওয়ার সময়কালটা সব সময়ই আনন্দময়। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ঠিক কত বছরের হওয়া উচিত? কত বছরের ফারাক হলে সম্পর্ক ঠিক থাকে?

এক গবেষণায় উঠে এসেছে সম্পর্ক ধরে রাখতে বয়সের আদর্শ ফারাক নিয়ে কিছু তথ্য।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বয়সের ফারাক নিয়ে এক গবেষণায় কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।

তারা ৩-হাজার জনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে উঠে এসেছে দুজনের সম্পর্কে ৫-থেকে ৭-বছরের ফারাক, ১০-বছরের ফারাক ও সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য।

৫-থেকে ৭-বছরের ফারাক : গবেষণায় বলা হয় যে, দম্পতিদের বয়সের ফারাক ৫-থেকে ৭-বছরের, সেখানে ১৮-শতাংশ সুযোগ রয়েছে বিচ্ছেদের। তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী।

১০-বছরের ফারাক : দুজনের মাঝে ১০-বছরের বয়সের ফারাক হলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯-শতাংশ। এ ছাড়াও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

২০-বছরের ফারাক : দুজনের বয়সের ফারাক যদি ২০-বছরের হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫-শতাংশ। সেক্ষেত্রে এও বলা হচ্ছে যে, যদি বয়সের ফারাক ১-বছরের হয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩-শতাংশ থাকে।

সম্পর্ক ও সন্তান : গবেষণা এও বলছে, সব সময় যে বয়সই একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ হচ্ছে, তা নয়। রয়েছে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিয়ের আগে সন্তান এলে সেই জুটির সম্পর্ক বেশ টেকসই হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ের পরে সন্তান হওয়ার পরও অনেক সময় বিচ্ছেদের কবলে পড়তে পারেন ৫৯-শতাংশ।

এ ছাড়াও গবেষণায় বলা হচ্ছে, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমে। সেক্ষেত্রে একই বয়সের দুজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ককে স্থায়ী করে বলে ইঙ্গিত গবেষণার।

আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /