টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচতলা। হাসপাতালের নীচতলার প্রতিটি কক্ষে, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন ও কলেজ ভবনের নিচতলার অফিস ও ক্লাস রুম ডুবে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
ভোগান্তিতে পড়েছেন ডাক্তার-নার্স-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও। শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ও শনিবার সারাদিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
শনিবার (৩১শে-মে) হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ওসমানী কলেজ ভবন। একইসঙ্গে হাসপাতালের ২৬, ২৭নং ওয়ার্ড রয়েছে ঝুঁকিতে। ছুঁই ছুঁই করছে পানি। যেকোনো সময় পানিতে ভেসে যেতে পারে নিচতলার ওয়ার্ডগুলো।
হাসপাতালের ২৬-২৭ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা আতঙ্কে আছেন। যেকোনো সময় তাদের এই ওয়ার্ডে পানি উঠে ব্যাহত হতে পারে চিকিৎসা সেবা। তখনও পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। ডুবে গেছে কয়েকটি প্রধান সড়ক।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সোমা নামের এক নার্স বলেন, টানা বৃষ্টি কারণে আমাদের হাসপাতাল, কলেজ ভবন ও প্রবেশপথ থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে কোমর সমান জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানির কারণে আমাদের হাসপাতালে ঢুকতে খুব কষ্ট হয়েছে। এ জলাবদ্ধতা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমাদের হাসপাতাল ও কলেজ ভবনে ঢুকে পড়েছে। কলেজের ক্লাস রুম ও অফিসে পানি ঢুকে পড়ায় কর্মকর্তা, কর্মচারী ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এছাড়া ডাক্তার-নার্স, ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের কর্মকর্তা ও সচিবদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ২৪-ঘণ্টায় সিলেটে ১৩২-মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আর শনিবার সকাল ৬-টা থেকে বিকাল ৩-টা পর্যন্ত ১৬৪-মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সিলেট অঞ্চলের আকাশে মেঘ রয়েছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে।
আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /
আপনার মতামত লিখুন :