আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশকে কেন্দ্র করে দেশের সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে ছুটির সময় ও পরিমাণে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা।
রোববার (১লা-জুন) থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হচ্ছে। তবে ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার (৩০-৩১শে-মে) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯শে-মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০২৫-শিক্ষাবর্ষের সরকারি শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে দীর্ঘ ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, সরকারি-বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সবচেয়ে কম ছুটির মুখোমুখি হচ্ছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন সপ্তাহ ছুটি
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে ৩রা-জুন থেকে এবং ক্লাস পুনরায় শুরু হবে ২৩শে-জুন। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টানা ২১-দিনের ছুটি পাবেন।
মাধ্যমিকে ঈদ-গ্রীষ্মের টানা ছুটি ২৩-দিন
মাধ্যমিক স্তরে ছুটি শুরু হবে ১লা-জুন। ঈদ এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে এটি চলবে ১৯শে-জুন পর্যন্ত। এরপর ২০-ও ২১শে-জুন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ২২শে-জুন থেকে ক্লাস পুনরায় শুরু হবে। এই স্তরে মোট ২৩-দিনের ছুটি থাকছে।
কলেজ পর্যায়ে ছুটি কম
সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোতে ছুটি শুরু হবে ৩রা-জুন এবং শেষ হবে ১২ই-জুন। শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকলেও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ এই স্তরে রাখা হয়নি। তাই মোট ছুটি মাত্র ১০-দিন।
মাদ্রাসায় সর্বোচ্চ ২৫-দিন ছুটি
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং বেসরকারি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাগুলোতে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে ১লা-জুন থেকে। এটি চলবে ২৫শে-জুন পর্যন্ত। এরপর ২৬শে-জুন থেকে পাঠদান শুরু হবে। মাদরাসাগুলোর এই ২৫-দিনের টানা ছুটি শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সর্বোচ্চ।
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ২১-দিন
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সব প্রতিষ্ঠানেও ছুটি শুরু হচ্ছে ১লা-জুন থেকে এবং চলবে ১৯শে-জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ২২শে-জুন থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে। এতে করে ছুটির সময় দাঁড়াচ্ছে মোট ২১-দিন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জির ভিত্তিতে এবারের এই ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থায় বৈচিত্র্য থাকায় বিভিন্ন স্তরে ছুটির ভিন্নতা থাকলেও, সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক যেন ঈদের আনন্দ ও অবকাশের স্বস্তি একসঙ্গে উপভোগ করতে পারে, সেই দিকটি মাথায় রেখেই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /
আপনার মতামত লিখুন :