ব্লাড ক্যান্সার কী, কেন হয়, প্রতিকারের উপায় কী?


আজকের বিডি নিউজ২৪ প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২৫,

অফিস ডেস্ক :

ব্লাড ক্যান্সার : মানবদেহের রক্তের কোষগুলো যখন অস্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বাড়তে শুরু করে এবং রক্তের কোষের স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে, সেই অবস্থাকে ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তের ক্যান্সার বলা হয়। ব্লাড ক্যান্সার সাধারণত অস্থিমজ্জা বা লিম্ফ গ্রন্থি থেকে শুরু হয়ে শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় : নানা কারণে রক্তের ক্যান্সার বা ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, পূর্ববর্তী ক্যান্সার চিকিৎসা, ক্ষতিকারক পদার্থ এক্সপোজার, লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর, সংক্রমণ, বয়স এবং লিঙ্গজনিত কারণে ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তরোগ হতে পারে।

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। তবে রেডিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, কীটনাশক বা পেস্টিসাইড, ভেজাল খাবার, হেয়ার ডাই, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ, কেমোথেরাপি ড্রাগস ও কিছু জেনেটিক অসুখ দায়ী থাকতে পারে। যে কোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের রক্তের মাদার সেলের (স্টেম সেল) মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যান্সার সেল বা অপরিপক্ব কোষ তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় ও রক্তে প্রবাহিত হয়।

ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ : ব্লাড ক্যান্সার সাধারণত তিন ধরনের-লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও মাইলোমা। লিউকেমিয়া আবার চার ধরনের-একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া, একিউট মিয়ালয়েড লিউকেমিয়া, ক্রনিক মিয়ালয়েড লিউকেমিয়া ও ক্রনিক লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া।

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ : ব্লাড ক্যান্সারের নানা ধরনের লক্ষণ রয়েছে। ১. রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে পানি জমে যাওয়া, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া। ২. দীর্ঘদিনের জ্বর বা ঘন ঘন জ্বর হওয়া। . অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, দাঁতের গোড়া, প্রস্রাব-পায়খানা ও কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, মাসিক বেশি হওয়া ইত্যাদি। ৪. গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া। ৫. লিভার-প্লীহা বড় হওয়া। ৬. হাড়ে ব্যথা, কোমরব্যথা।

রোগ নির্ণয় : ১. সিবিসি উইথ পিবিএফ, ২. বোনম্যারো স্টাডি ৩. ফ্লোসাইটোমেট্রি, ৪. সিটি গাইডেড কোর বায়োপসি/বায়োপসি, ৫. সাইটোজেনেটিক্স।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা : এ রোগের চিকিৎসা মূলত রোগীর ধরন, রোগ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে বা কতটা ছড়িয়েছে এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া সাপোর্টিভ কেয়ার, বিশেষ করে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, সংক্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য জটিলতা রোগীর চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্দিষ্ট করেন। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ও বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করা হয়। ব্লাড ক্যান্সারের এসব চিকিৎসা বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে হয়ে থাকে।

আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /