৪’শ টাকার কাঁচামরিচে বেড়েছে ঝাঁঝ


আজকের বিডি নিউজ২৪ প্রকাশের সময় : জুলাই ১৪, ২০২৪,

The Daily Nt News

বুলেট ,প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়েছে কাঁচা ঝালের। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়তি রসুন পেয়াঁজ, মাছ ও মাংসের। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজার ও অন্যান্য সব বাজার ঘুরে কাচাঁ ঝালের অস্বাভাবিক দামের চিত্র চোখে পড়ে। এদিকে দাম স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে গতকাল শনিবার কাঁচা ঝালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম যেন আকাশ ছোঁয়া ঝালের বাজারে। কেজিতে ২২০ টাকা বেড়ে দাম ৪০০ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষ যেন কাঁচা ঝাল কিনতে যেয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে পড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা অনেকটা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এছাড়া সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাইকারি পর্যায়ে পেয়াঁজ ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা আর রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিনকে দিন। আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম ৬০ টাকা। তবে দামে স্বস্তি নেই মসলার বাজারে। প্রতিটা মসলার দাম আকাশ ছোঁয়া। সব থেকে দাম বেশি এলাচের। কেজিতে এই মসলার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর অন্যান্য মুদি নিত্যপণ্যের দাম দিনকে দিন যেন বাড়তেই আছে। কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়িরা। দামে স্বস্তি ফিরেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল, ডিম, চিনি, আটা ও সব রকমের চালের দামে। তবে অস্বস্তি রয়েই গেছে সব ধরনের প্যাকেটজাত পণ্যে। এই পণ্যগুলো প্যাকেট প্রতি ৩ টাকা বাড়তি।

দামে স্বস্তি নেই আমিষের বাজারে। বৃষ্টির কারণে বাজারে সব ধরনের মাছের আমদানি কম। তাই বড় মাছ কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। তবে সব থেকে দাম বেড়েছে রুই মাছের। এছাড়া সব ধরনের ছোট মাছ কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। এদিকে আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে গরুর ও খাসির মাংস। এদিকে নিম্ন আয়ের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু ব্যবসায়ি ব্রয়লার মুরগির মাংস দাম নিয়েছেন ২৮০ টাকা কেজিতে। সোনালি ও প্যারিসের মুরগির মাংস কেজিতে ৩০ টাকা বাড়তি। আর দেশি জাতের মুরগির মাংসে আকাশ সমান দাম। দেশী মুরগী এক কেজির দাম ৬৫০ টাকা। এভাবে সবজির সাথে পাল্লা দিচ্ছে আমিষের বাজারও। ফলে সাধারণ ভোক্তারা পড়েছে সব থেকে বিপাকে।

বাজার করতে আসা মারুফ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি। মুরগির মাংস কেনার তো কোনো ভাবে কায়দা নেই। তারপর আবার কাচাঁ ঝালের দাম। এভাবে প্রতিদিন সব খাদ্যর দাম বাড়তে থাকলে আমরা সাধারণ জনগণ কি ভাবে বাজার করবো সেটায় এখন ভাবার বিষয়।


আরেক ক্রেতা তানজিম তমাল বলেন, শুধু যে বৃষ্টির অযুহাত সামনে রেখে জিনিসের দাম বাড়ে তা তো না। নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন উঠানামা করে। আর এই নিচের বাজারের সব ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট। এখন আবার দেখছি বেগুনের সাথে পাল্লা দিয়েছে কাঁচা ঝালের দাম। এক কেজি কাচাঁ ঝাল ৪০০ টাকা। কি করে বাচঁবো। ঝাল কিনবো না কি অন্য জিনিস কিনবো কিছুই বুজতে পারছি না। এজন্য বাজার মনিটরিং নিয়মিত করা দরকার বলে মনে করি।

এবিষয় চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন এই বর্ষা মৌসুমে বাজারে সবজির সরবরাহ কম দেখা যায়। সবজি উৎপাদনও কম হয় বর্ষা মৌসুমে তাই সবজির দামটা একটু বাড়ে। সবজির দাম যেন নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য সবজি ব্যাবসায়ি ও কৃষকদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। যাতে করে সবজির দামটা নাগালের মধ্যে রাখে। কাঁচা ঝালের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পিছনে কোনো কারণ আছে কি না সেটা নিছে চিন্তা ভাবনা চলছে। আসা করছি আগামি দিন থেকে ঝালের দামটা স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে আসা হবে।

আজকের বিডি নিউজ২৪/ জাকারিয়া /